- ৮. শিল্পী ও খ্যাতনামা – সমাপ্তি ও সান্যালনামা
ডঃ শংকর সেন ছিলেন বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে ইলেকট্রিকালের স্নাতক। পরবর্তী কালে তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হন। বামপন্থী ভাবধারায় দীক্ষিত মানুষটি এরপরে সক্রিয় রাজনীতিতে আসেন এবং পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুতমন্ত্রী হন। তৎকালীন CESC-র অদক্ষ প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং মাসুলের উপড়-এর প্রভাব নিয়ে তিনি সোচ্চার হন। ডঃ সেনের উদ্যোগ ও পরিকল্পনার প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গ একটি বিদ্যুত-ঘাটতির রাজ্য থেকে বিদ্যুত-উদ্বৃত্ত রাজ্যে পরিণত হয়। কিন্তূ কথিত যে, কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নানের আনা অভিযোগ অনুসারে CESC-র ব্যাপারে কটু মন্তব্য জন্যে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু ডঃ সেনকে মন্ত্রীসভা থেকে বাদ দেন। এছাড়াও তিনি কেন্দ্রীয় কমিটি, পার্শবর্তী রাজ্য এবং ভুটান সহ অনান্য দেশের বিদ্যুত বিভাগের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন।
১৯৬৭ সালের সিভিলের স্নাতক তথাগত রায় একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ, প্রকৌশলী এবং লেখক। ২০০২ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত্য তিনি ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) -এর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি। বর্তমানে তিনি বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং জাতীয় নেতা। তথাগতবাবু মাধ্যমিক পরীক্ষায় স্থানাধিকারী এবং জগদীশ বোস জাতীয় বিজ্ঞান প্রতিভার বৃত্তিভোগী ছাত্র। বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে পাশ করে তিনি ভারতীয় রেলে যোগ দেন, পরে রাইটসের জেনারেল ম্যানেজার ও কলকাতা মেট্রো রেলের চিফ ইঞ্জিনিয়ার ডিজাইন পদে কাজ করেন। ১৯৯০ সালে স্বেচ্ছাবসর নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপকপদে যোগদান করেন এবং সেখানে কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা এবং বিভাগীয় প্রধান। ২০০০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত্য ছিলেন TTTI কলকাতার একজন বোর্ড চেয়ারম্যান। এছাড়াও তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের স্নাতক। হিন্দুত্বের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ১৯৮৬ সালে তিনি স্বয়ংসেবক হন এবং ১৯০০ সালে বিজিপিতে যোগ দেন। তিনি দুটি বইয়ের লেখক। একটির নাম ছিল 'My People, Uprooted: A Saga of the Hindus of Eastern Bengal' যা পরে নামপরিবর্তিত হয়ে 'A Suppressed Chapter in History: The Exodus of Hindus from East Pakistan and Bangladesh, 1947-2006' নামে প্রকাশিত হয় ২০০৭ সালে। অন্যটি ২০১২ সালে প্রকাশিত 'The Life and Times of Dr. Syama Prasad Mookerjee' যা পরে হিন্দিতে অনুদিত হয় अप्रतीम नायोक: ड श्यामा प्रसाद मुखार्जी নামে। ষ্টার আনন্দ বা অন্যান্য বাংলা চ্যানেলের কল্যানে দূরদর্শনের পরিচিত মুখ। তথাগতবাবুর ভাই সৌগত রায়, তৃনমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য এবং প্রাক্তন মন্ত্রী।
সিভিলের স্নাতক নারায়ণ সান্যাল (১৯২৪-২০০৫) আধুনিক বাংলা সাহিত্যের একটি সুপরিচিত ও বহুমুখী লেখক। সান্যাল একজন ঔপন্যাসিক হিসেবেই বেশি পরিচিত হলেও, তিনি পেশায় একজন বিশিষ্ট সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক করার পরে, ১৯৪৮ সালে তিনি বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে ব্যাচেলর অব ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন। এরপর তিনি পূর্তবিভাগ (PWD) এবং পরে ন্যাশনাল বিল্ডিং অর্গানাইজেসন এবং পূর্বাঞ্চলের কেন্দ্রীয় পূর্ত মন্ত্রণালয় ও আবাসনে চাকুরী করেন। তিনি ইনস্টিটিউশন অফ ইঞ্জিনিয়ার্স-এর ফেলো সদস্য। অন্যান্য বিষয় ছাড়াও তিনি 'বাস্তু বিজ্ঞান' নামে একটি পুরকৌশলের বই লিখেছিলেন।
শোনা যায় কোনো এক সাক্ষাতকারে এক সাংবাদিক শ্রী সান্যালের কাছে জানতে চান 'আপনি সিভিল ইঞ্জিনিয়ার থেকে হঠাৎ লেখক হলেন কি ভেবে'? শ্রী সান্যাল উত্তরে বলেছিলেন 'আপনার প্রশ্নটা হওয়া উচিত ছিল আমি লেখক হতে গিয়ে হঠাৎ করে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হলাম কি করে'। শ্রী সান্যাল ছিলেন সত্যিই বহুমুখী। তাঁর লেখা বিভিন্ন বই-এর বিষয় বিভিন্ন; যেমন শিশু, বিজ্ঞান, শিল্প ও স্থাপত্য, ভ্রমন, মনোরোগ, প্রযুক্তি, উদ্বাস্তু সমস্যা, ইতিহাস, জীবনী, পশুদের ব্রিটানিয়া, সামাজিক উপন্যাস এবং দেবদাসী ইত্যাদি। উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হলো এই প্রতিভাবান লেখক অনেক বিশ্ববিখ্যাত কাজের উপর ভিত্তি করে লিখতে পছন্দ করতেন। যেমন ১৯৩০ সাল নাগাদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ম্যানহাটান প্রজেক্টে পরমানু বোমার আবিষ্কারের উপড় লেখা 'বিশ্বাসঘাতক'। ১৯১১ সালের মোনালিসার ছবি চুরির কাহিনীর উপর লেখা 'প্রবঞ্চক' (১৯৮৭) তেমনই আর এক প্রবন্ধ। দেখতে গেলে প্রবঞ্চক হলো দুটি প্রবন্ধ, একটি মোনালিসা চুরির আসল ঘটনা নিয়ে আর একটি চিত্রকলার ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ জালিয়াতি নিয়ে। তেমনই তাঁর সবচেয়ে জনপ্রিয় কল্পবিজ্ঞানের কাহিনী 'নক্ষত্রলোকের দেবতাত্মা', যার ভিত্তি মানব জাতির আদিম জীব থেকে সমগ্র পৃথিবীর নিয়ন্ত্রক সভ্য বুদ্ধিমান প্রজাতিতে রূপান্তর এবং তারপর বৃহস্পতি গ্রহের অন্বেষণ ও একটি সুপার কম্পিউটার হ্যাল। তিনখন্ডে প্রকাশিত এই কাহিনীর অনুপ্রেরণায় ২০১১ সালে আর্থার ক্লার্কের লেখা 'A Space Odyssey'। যদিও নারায়ণ সান্যালের ভাষায় হ্যাল একটি 'যন্ত্র-না'।
১৯৬৯ সালে তিনি রবীন্দ্র পুরস্কার পান 'অপরূপা অজন্তা'র জন্য, ২০০০ সালে বঙ্কিম পুরস্কার পান 'রূপমঞ্জরী'র জন্য এবং পান নরসিংহ দত্ত পুরস্কার সহ সাহিত্যের জন্য আরোও বেশ কিছু পুরস্কার। তাঁর অনেক বই থেকে সিনেমা তৈরি হয়েছে এবং তিনি বাঙ্গালী ফিল্ম সাংবাদিকদের কাছ থেকে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের কাহিনীকার পুরস্কার পান 'সত্যকাম' লেখার জন্যে। প্রদীপ দত্তের লেখা নারায়ণ সান্যালের জীবনী - 'আমি নারায়ণ সান্যালকে দেখেছি'। সান্যালের গ্রন্থপঞ্জি নিচে দেওয়া হলো:
Å চলচ্চিত্রে নারায়ন সান্যাল:
১। 'সত্যকাম' উপন্যাস থেকে একই নামে ১৯৬৯ সালে হৃষিকেশ মুখার্জি নির্দেশিত এবং ধর্মেন্দ্র, শর্মিলা ঠাকুর, রবি ঘোষ এবং অশোক কুমার অভিনীত হিন্দি চলচ্চিত্র
২। 'নাগচম্পা' উপন্যাসের উপড় ১৯৭৪ সালে নির্মীত বাংলা ছায়াছবি 'যদি জানতেম'; যাত্রিক নির্দেশিত এবং রুমা গুহ ঠাকুরতা, উত্তম কুমার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, সুপ্রিয়া চৌধুরী, বসন্ত চৌধুরী, কমল মিত্র ও হারাধন ব্যানার্জী অভিনীত। নারায়ন সান্যাল এই সিনেমার সংলাপও লিখেছিলেন।
৩। ১৯৮৩ সালে 'অশ্লীলতার দায়ে' উপন্যাসের উপড় একই নামে চিরঞ্জিত অভিনীত বাংলা সিনেমা।
৪। ১৯৯১ সালে ইন্দ্রানী হালদার, তাপস পাল ও অনুপ কুমার অভিনীত 'নীলিমায় নীল'।
Å শিশু ও কিশোর সাহিত্য
১। 'শার্লক হেবো' (১৯৭১)
২। প্রদীপ দত্তের সঙ্গে 'অরিগ্যামি' (১৯৮২)
৩। 'ডিসনিল্যান্ড' (১৯৮৫)- তাঁর নিজের ক্যালিফোর্নিয়া ভ্রমণের কাহিনী। এই বইটিতে তার কিছু পেন্সিল আঁকা চিত্র আছে।
৪। 'নাক উঁচু' (১৯৮৫)
৫। 'হাতি আর হাতি' (১৯৮৯)
Å বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ, বিজ্ঞান কথাসাহিত্য এবং কল্পবিজ্ঞান:
বিশ্বাসঘাতক (১৯৭৪); হে হংসবলাকা (১৯৭৪); অবাক পৃথিবী (১৯৭৬); নক্ষত্রলোকের দেবতাত্মা (১৯৭৬); আজি হতে শতবর্ষ পরে (১৯৮৫)
Å চিত্রাঙ্কণ, ভাস্কর্য ও স্থাপত্য:
অজন্তা অপরূপা (১৯৬৮); লা-জবাব দিল্লি অপরূপা আগ্রা (১৯৮২); Immortal Ajanta (১৯৮৪); ভারতীয় ভাস্কর্যে মিথুন (১৯৮০); প্রবঞ্চক (১৯৮৭)
Å ভ্রমন কাহিনী:
দণ্ডকশবরী (১৯৬২); পথের মহাপ্রস্থান (১৯৬৫); জাপান থেকে ফিরে (১৯৭১)
Å স্মৃতি-রোমন্থন:
ষাট একষট্টি (১৯৮৪); আবার সে এসেছে ফিরিয়া (১৯৮৯)
Å মনস্তাত্ত্বিক:
মনামী (১৯৬০); অন্তর্লীনা (১৯৬৬); তাজের স্বপ্ন (১৯৬৯)
Å গোয়েন্দাকাহিনী (কাঁটা সিরিজ সহ ):
নাগচম্পা (১৯৬৮); সোনার কাঁটা (১৯৭৪); মাছের কাঁটা (১৯৭৫); পথের কাঁটা (১৯৭৬); ঘড়ির কাঁটা (১৯৭৭); কুলের কাঁটা (১৯৭৮); উঁলের কাঁটা (১৯৮০); অ-আ-ক-খুনের কাঁটা (১৯৮৭); সারমেয় গেণ্ডুকের কাঁটা (১৯৮৯); কৌতূহলী কনের কাঁটা (১৯৯৩); অভি পূর্বক নী ধাতু অ - য়ের কাঁটা; যাদু এতো বড় রঙ্গের কাঁটা; রিস্তেদারের কাঁটা (১৯৯২); ড্রেস রিহার্সালের কাঁটা; ন্যায়নিষ্ঠ ন্যাসনাশীর কাঁটা (১৯৯৪); সকল কাঁটা ধন্য করে
Å গবেষণা সম্পর্কিত:
নেতাজি রহস্য সন্ধানে (১৯৭০); চিন - ভারত লং মার্চ (১৯৭৭); পয়োমুখম (১৯৮৭)
Å উদ্বাস্তু সমস্যা সংক্রান্ত:
বল্মীক (১৯৫৫); বকুলতলা পি. এল. ক্যাম্প (১৯৫৫); অরণ্যদণ্ডক (১৯৬১)
Å ঐতিহাসিক:
মহাকালের মন্দির (১৯৬৪); হংসেশ্বরী (১৯৭৭); আনন্দস্বরূপিণী (১৯৭৮); লাডলী বেগম (১৯৮৬); রূপমঞ্জরী
Å জীবনীমূলক:
আমি নেতাজিকে দেখেছি (১৯৭০); আমি রাসবিহারীকে দেখেছি (১৯৭৩); লিন্ডবার্গ (১৯৭৮)
Å দেবদাসী সম্পর্কিত:
সুতনুকা একটি দেবদাসীর নাম (১৯৮৩); সুতনুকা কোন দেবদাসীর নাম নয় (১৯৮৪)
Å নাটক:
মুস্কিল আসান (১৯৫৪); এক দুই তিন।
Å রচনা সংগ্রহ:
স্বর্গীয় নরকের দ্বার এবং ... (১৯৯২); লিওনার্দোর নোটবই এবং ... (১৯৯২)
Å নামানুষ (জন্তু) সাথে সম্পর্কিত:
গজমুক্তা (১৯৭৩); তিমি তিমিঙ্গিল (১৯৭৯); রাস্কেল (১৯৮৪); না-মানুষের কাহিনী (১৯৮৮); না-মানুষী বিশ্বকোষ এক (১৯৮৮); না-মানুষী বিশ্বকোষ দুই (১৯৯০)
Å সামাজিক উপন্যাস
ব্রাত্য (১৯৫৯); অলকানন্দা (১৯৬৩); নীলিমায় নীল (১৯৬৪); সত্যকাম (১৯৬৫); পাষণ্ড পণ্ডিত (১৯৭০); অশ্লীলতার দায়ে (১৯৭৫); লাল ত্রিকোণ (১৯৭৫); প্যারাবোলা স্যার (১৯৭৭); আবার যদি ইচ্ছা কর; মিলনান্তক (১৯৮৫); ছোঁবল (১৯৮৯); ছয়তানের ছাওয়াল (১৯৮৯); এমনটা তো হয়েই থাকে (১৯৯২); আম্রপালি (১৯৯২); মান মানে কচু (১৯৯২)
এছাড়াও অনেকে আছেন, হয়ত আমরা ধীরে ধীরে জানতে পারব। তার মধ্যে কয়েকজন:
- মিঃ অমিতাভ ভট্টাচার্য ছিলেন আই এ এস এবং ভারত সরকারের প্ল্যানিং কমিশনের প্রধান উপদেষ্টা যা কেন্দ্র সরকারের সচিব পদের সমতুল্য
- ডঃ অমিতাভ ঘোষ (মেকানিক্যাল) হয়েছিলেন খড়গপুর IIT-র ডিরেক্টর। এখন বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নাসি সিনিয়র সায়েন্টিস্ট এবং ভারতীয় জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমীর সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ও আই আই টি কানপুরের সান্মানিক বিশিষ্ট অধ্যাপক।
- রায় বাহাদুর আনন্দ প্রসাদ সরকার (১৮৮৩-র স্নাতক) ছিলেন বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির সেচ বিভাগের প্রথম ভারতীয় প্রধান প্রকৌশলী বা চিফ ইঞ্জিনিয়ার
- শ্রী অমর নাথ দাস (১৮৯৫-র স্নাতক) ছিলেন বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির নির্মান বিভাগের প্রথম ভারতীয় প্রধান প্রকৌশলী
- ডঃ বিমল বোস ছিলেন আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অফ টেন্নেসসীর পাওয়ার ইলেকট্রনিক্সের সন্মানীয় অধ্যাপক
- ডঃ নিহার বিশ্বাস ছিলেন কানাডার ইউনিভার্সিটি অফ উইন্ডসরের ডিন
- ডঃ তাপস সোম ছিলেন আমেরিকায় IBM কোম্পানির মুখ্য যন্ত্রবিদ
- ডঃ এস গোলদার ছিলেন দিল্লি কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ডিরেক্টর
- প্রোফেসর এ মিত্র ছিলেন দিল্লি স্কুল অফ প্ল্যানিং এন্ড আর্কিটেকচারের ডিরেক্টর
- শ্রী অনিল চন্দ্র ব্যানার্জী ছিলেন কলকাতার ডেভেলপমেন্ট কনসালটেন্ট প্রাঃ লিঃ-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর
- ডঃ অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়, পেশাদার প্রকৌশলী (PE), ASCE- র ফেলো, SUNY ডিস্টিংগুইশড সার্ভিস প্রোফেসর
No comments:
Post a Comment
Note: Only a member of this blog may post a comment.