Friday, April 5, 2013

৭. শিল্পী ও খ্যাতনামা - অগ্রভাগ

- ৭. শিল্পী ও খ্যাতনামা - অগ্রভাগ

রপর আসা যাক সেই সব গুনীদের কথায় যারা যন্ত্র প্রযুক্তির পথ ছেড়ে অন্য বিভাগে খ্যাতনামা হয়েছেন। প্রথমেই আসি মহীনের ঘোড়াগুলির কথায়। পড়ে নেওয়া যাক তাদের মুখবন্ধ। 'মহীনের ঘোড়াগুলি ঘাস খায় কার্তিকের জ্যোৎস্নার প্রান্তরে' গান গায়। ডানা নেই তবু তার উড্ডীন ডানার শব্দে প্রছন্ন ভোর হয় গগনচারী পাখিদের আর বহতা নদীর, যেখানে নিকটস্থ গার্হস্থ্য সুখ অসুখ আর মানুষের জ্যোৎস্নাহীন প্রাণপাত দিনযাত্রা। একদিন মানুষের ঘরবাড়ি ছিল যেই সবুজ চরভূমিতে, বারবার ভেসেভুসে গেছে ভীমবানে, অনন্ত জলক্লিন্ন সেই অজনবিজন চরে মহীনের ঘোড়াগুলি নিষ্পন্দ দাঁড়িয়ে রয়েছে, ওই দেখুন, চোখে জল, কে তুলনা? মহীনের ঘোড়াগুলি হ্রেষা তোলে, সে কি গান? তার ওই স্পন্দমান ছুটে চলা, কুয়াশাম্বিত জ্যোৎস্নায় তার বিলীয়মান দোলাচল, খুরশব্দহীন; কেননা উল্লেখ্য, মহীনের ঘোড়াগুলির খুরে কোনো নাল নেই।

নিঃস্বপ্ন বেদনার কাছে বলুন আর কে পারে 'হে প্রিয় অসুখ' বলে নিকটস্থ হতে? আর, মহীনের ঘোড়াগুলি মাঝে মাঝে হাই তোলে, হাঁটুমুড়ে ঘুমোয়ও বটে। অনাদরে পাশে পরে থাকে গীটার, বাঁশি, ভায়োলিন, চিড়েগুড়। সেইসব ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন, স্বপ্নের ভেতরে ঘুম, আর তার মধ্যে থেকে স্পন্দিত হতে থাকে সিম্ফনিক ইমোশন্স্‌, যাকে বলি সংবেগ; সংবিগ্ন পাখিকুল উড়ে যায়। উড়ে যায় কিন্তু কোথাও যায় না। নীচে ঘুমন্ত পৃথিবী নক্‌শী শতরঞ্জের ছকের মতো পড়ে আছে; নয়াঞ্জুলিতে শাদাশাদা ভয়ঙ্কর হাড়গোড়, বাতাসে ষড়জন্ত্রময় শ্বাসশব্দ আর ক্ষুধার্ত মানুষের শ্বাপদপ্রতিম চোখ, চোখগুলি, ঘুমহীন, যৌথভাবে জেগে আছে। (আহা, পদ্ম ফুটে ভরে আছে জলা)। তবু, যাঁরা বলেন, মহীনের ঘোড়াগুলি, তোমাদের সামুদ্রিক জলকেলি আর কদ্দিন? যন্ত্রনাময় পৃথিবীর সমস্যাসঙ্কুলতা থেকে নিরাপদ দূরত্বে আর কতদিন তোমাদের বসবাস? তাঁদের বলি - অ্যাঁট্টকুনি ডাঁড়ান স্যার, এই এলুম বলে। মহীনের ঘোড়াগুলি নিয়ে এই ভূমিকাটার কারন এর সাথেও বি ই কলেজের ওতোপ্রতো ভাবে জড়িয়ে থাকা। 

১৯৬১ সালের আর্কিটেকচারের স্নাতক স্থপতি অরুনেন্দু দাস বিংশ শতাব্দীর বিকল্প বাংলা গান লেখার অগ্রদূত। 'মহীনের ঘোড়াগুলি' যেমন প্রথম বাংলা ব্যান্ড, অরুনেন্দু হলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি বিশেষত গিটারের অনুষঙ্গী বাংলা গান রচনা করেন যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। অরুনেন্দু ছিলেন ভবানীপুর মিত্র ইনস্টিটিউশন, কলকাতা-এর স্কাউট গ্রুপ এর একজন সদস্য। ১৯৫৫ সালের গ্রীষ্মে সেই স্কাউট গ্রুপের এক শিবির হয়  পুরিতে (উড়িষ্যা)। এখানে অন্যান্য স্কাউট গ্রুপের মধ্যে এক বন্ধুত্বপূর্ণ গান গাওয়া প্রতিযোগিতার সময়, তার প্রথম নিজের গান রচনার ভাবনা। সমসাময়িক জনপ্রিয় বাংলা গান 'উজ্জল এক ঝাঁক পায়রা'-(A Cluster of Bright Pigeons) সুরে গাওয়া তাঁর নিজের লেখা 'চঞ্চল এক দল স্কাউট ভাই' (A Restless Group of Boy Scouts) এরপর  তার স্কুলের বন্ধু প্রবীর কুমার দাসের অনুপ্রেরনায় ইস্পাতের গিটার সঙ্গী করে অরুনেন্দুর সঙ্গীতের প্রথাগত শিক্ষা। তিনি এই নতুন  জ্ঞান সম্পূর্ণরূপে কাজে লাগান বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, শিবপুর পড়ার সময় (১৯৫৬-৬১)। এখানে পড়ার সময় তাঁর নিজের লেখা গান এবং বিভিন্ন সমসাময়িক গানের ওপর লেখা প্যারডি তার বন্ধুদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল। কলেজে পড়ার সময়ই অরুনেন্দু এক প্রতিষ্ঠিত হাওয়াইয়ান গিটার প্লেয়ার হিসাবে নাম করেন, কিন্তূ খুব একটা প্রকাশ্য জলসা করেননি। হেমন্ত, প্রতিমা, সন্ধ্যা, অমৃত দে, শ্যামল, সতীনাথ এবং মানবেন্দ্র, ধনঞ্জয়ের মতো বাঙ্গালী গায়ক দ্বারা অনুপ্রাণিত হলেও তার গান লেখা ছিল মূলতঃ ব্যক্তিগত ও বন্ধুদের আনন্দ এবং গিটারে তাঁর নবার্জিত জ্ঞানের অনুশীলনের জন্যেই লেখা। এই সময়ে অরুনেন্দু এছাড়াও শাস্ত্রীয় স্প্যানিশ গিটার বাজিয়ে হাত-পা ছুঁড়ে গান গাওয়া সুরু করেন যা তখন পার্ক স্ট্রীট এলাকায় কিছু পাবস এবং ইঙ্গ-ভারতীয় সম্প্রদায়ের সদস্যদের মধ্যেই পাওয়া যেত। অরুনেন্দু ইংল্যান্ডে আসেন ষাটের দশকের শেষ দিকে এবং অবিলম্বে সমকালীন আমেরিকান এবং ইংরেজি জনপ্রিয় গানের প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়েন এবং সেই ধারায় বাংলা গান রচনা শুরু করেন। অরুনেন্দুর তার নিজের লেখা গানগুলিকে 'ছয় তারের গান' বলতেন যেহেতু সেগুলো গিটারের জন্যে লেখা। ২০০৮ সালে তার কিছু গান কলকাতার প্রেসটো ষ্টুডিও থেকে 'অরুনদার গান' নাম মুক্তি পায়। অরুনেন্দুর আরোও কিছু গান অন্তর্ভুক্ত হয় 'মহীনের ঘোড়াগুলি'র অ্যালবাম 'আবার বছর কুড়ি পরে'; 'ঝরা সময়ের গান'; 'মায়া' বা 'ক্ষেপার গান' ইত্যাদিতে।

অরুনেন্দুর মাসতুতো ভাই প্রশান্ত দে (হাবুল) সত্তরের দশকে বি ই কলেজে আর্কিটেকচারের ছাত্র এবং নিজগুনে লোক গিটারের জনপ্রিয় শিল্পী; প্রথমে কলেজ ক্যাম্পাসে এবং তার পরেও প্রকাশ্য জলসায়।

১৯৭২ সালের সিভিলের স্নাতক প্রদীপ চ্যাটার্জী (বুলা) বাংলা ব্যান্ড 'মহীনের ঘোড়াগুলি'র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং গৌতম চ্যাটার্জীর কনিষ্ঠ ভ্রাতা। এছাড়াও তিনি একজন বংশীবাদক, গায়ক, থিয়েটার ব্যক্তিত্ত্ব, চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং নৃকুলবিদ্যা পারদর্শী। কলকাতার এম এন দস্তুর কোম্পানিতে বেশ কিছুদিন কাজ করেছেন। প্রদীপ চ্যাটার্জী তার দাদাকে অরুনেন্দু বাবুর গানের প্রতি আকৃষ্ট করেন। গৌতমবাবু গানগুলি এত পছন্দ করে ফেলেন যে তার মধ্যে চারটি গান অন্তর্ভুক্ত করেন অনেকদিনের ভেঙ্গে যাওয়া 'মহীনের ঘোড়াগুলি' ব্যান্ডের প্রথম প্রত্যাবর্তন অ্যালবাম 'আবার বছর কুড়ি পরে'-তে।

পন্ডিত বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত ছিলেন অসম্ভব মেধাবী ছাত্র। ১৯৪৮ সালের মাট্রিকুলেশান পরীক্ষায় তিনি দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। পঞ্চাশের দশকে বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের মেকানিকালের স্নাতক এই গুনী CESC-র চিফ ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। ২০১০ সালে তাঁর মাতৃশিক্ষায়তন বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে তাঁকে সান্মানিক D. Litt. উপাধি দেওয়া হয়। কিন্তূ তার থেকেও উল্লেখযোগ্য একটা পরিচয় হলো ইনি বিশ্ববিখ্যাত সরোদ শিল্পী। ১৭টি জাতীয় অনুষ্ঠান করেছেন অল ইন্ডিয়া রেডিওতে, যা একজন ভারতীয় শাস্ত্রীয় সুরকারদের মধ্যে খুব বিরল ঘটনা। ২০১১ সালে ভারত সরকারের পদ্মশ্রী দেওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন এই বলে যে "এটা খুব দেরি হয়ে গেছে"। ভারত সরকার ২০১২ সালে এই শিল্পীকে পদ্মভূষণ দিয়ে সন্মানিত করেছেন। পন্ডিত দাশগুপ্ত ব্রিটিশ রেকর্ডিং কোম্পানি নিম্বাস রেকর্ডসের রাগা মিউজিকের বিশিষ্ট্য শিল্পী। তার বিখ্যাত আত্মজীবনী 'বামনের চন্দ্রস্পর্শাভিলাস' (The desire of a dwarf to touch the moon), পর্যায়ক্রমে প্রকাশিত হয়েছে দেশ পত্রিকায়। ২০০৪ সালে প্রথম খন্ড এবং ২০১০ সালে দ্বিতীয় খন্ড প্রকাশিত হয় বই আকারে। এটি তাৎক্ষনিক  জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং সবথেকে বেশি বিক্রিত বাঙ্গালী আত্মজীবনী।

কালিদাসের কুমারাসম্ভাবা অনুবাদ করেছিলেন ১৯১১ সালের সিভিলের স্নাতক যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত (১৮৮৭-১৯৫৪)। নদীয়া জেলায় জন্ম এই বাস্তুবিদ নিজের জেলায় জেলা প্রকৌশলী পদে কাজ করেন কিছু বছর। তারপর এক অসুস্থতার কারণে তিনি তিন বৎসর বেকার জীবনযাপন করেন। কিন্তূ গান্ধীবাদে বিশ্বাসী যতীন্দ্রনাথ গ্রামের বেকার ছেলেদের নিয়ে চরকায় সুতো কেটে এবং দেশলাই বাক্স তৈরি করে দিনযাপন করেন। বলা বাহুল্য যখন কিছুই কাজ করলো না তখন ১৯২৩ সালে তিনি কাশিমবাজার রাজ পরিবারের প্রকৌশলী পদে যোগ দেন এবং অবসরের দিন পর্যন্ত্য এই পদেই বহাল ছিলেন প্রায় ১৯৫০ সাল পর্যন্ত্য। তাঁর সাহিত্যচর্চা মূলত এই সময়েই। তাঁর লেখা কবিতাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মরিচিকা, মরুশিখা, মরুমায়া, সায়াম, ত্রিযামা, নিশান্তিকা, অনুপুর্বা, কবিতা সংকলন, কবিতা সম্ভার, কাব্য সংগ্রহ ইত্যাদি। এছাড়াও লিখেছিলেন ছন্দে কাব্য পরিমিতি এবং গদ্য সংকলন। অনুবাদ করেছিলেন কালিদাসের 'কুমারাসম্ভাবা', পদ্য গান্ধীজির নির্বাচিত উক্তি 'গান্ধী বাণী কণিকা', তরুণদের জন্যে গীতার অনুবাদ 'রথী ও সারথী' এবং শেক্সপিয়ারের হ্যামলেট, ম্যাকবেথ, ওথেলো, প্রাচীন নাবিকের তুহিন, এন্থনি ও ক্লিওপেট্রা ইত্যাদি নিয়ে 'শেক্সপিয়ার ও অন্যান্য অনুবাদ'

বিনয় মজুমদার (১৯৩৪-২০০৬) ছিলেন বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে ১৯৫৭ সালের পাশ করা মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার। কিন্তূ তাঁর সেরা পরিচয় তিনি ২০০৫ সালে সাহিত্য একাডেমী পুরষ্কার পাওয়া একজন কবি। ষাটের দশকে হাংরি জেনারেশান আন্দোলনে যোগ দিলেও, এর অন্যতম নেতা শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের সাথে মতবিরোধের কারণে তিনি বেরিয়ে আসেন। যদিও অনুরূপ রচনা বন্ধ করেননি এবং হাংরি জেনারেশানের প্রতিষ্ঠাতা মলয় রায় চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। বিনয় মজুমদার তার লেখায় ছিলেন বিপ্লবী এবং যৌনতা সম্পর্কে সাহসী। অনেক সমালোচকই বিনয় মজুমদারকে জীবনানন্দ দাশের প্রকৃত উত্তরাধিকারী হিসাবে গণ্য করেন। মায়ানমারে জন্ম এই বাঙ্গালী কবি, কারিগরী শিক্ষা লাভের কিছু পরেই লেখালেখিতে মনোনিবেশ করেন। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'নক্ষত্রের আলোয়'। তিনি বেশ কিছু বিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থ রাশিয়ান থেকে বাংলায় অনুবাদ করেন। তাঁর সবথেকে বিখ্যাত রচনা 'ফিরে এস, চাকা', যা একটা দিনলিপির আকারে লেখা।
"একটি উজ্জ্বল মাছ একবার উড়ে
দৃশ্যত সুনীল, কিন্তূ প্রকৃত প্রস্তাবে স্বচ্ছ জলে
পুনরায় ডুবে গেল - এই স্মিত দৃশ্য দেখে নিয়ে
বেদনার গাড় রসে অপক্ক রক্তিম হলো ফল।"

সিভিলের স্নাতক বাদল সিরকার (১৯২৫-২০১১), যিনি  বাদল সরকার নামেও পরিচিত, ছিলেন এক প্রভাবশালী ভারতীয় নাট্যকার এবং থিয়েটার পরিচালক। ভারত, ইংল্যান্ড এবং নাইজেরিয়ায় শহর পরিকল্পক হিসেবে কাজ করার সময় তাঁর নাটকের জগতে প্রবেশ। তাঁর পরিচিতি মূলত সত্তরের দশকে নকশাল আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে প্রতিষ্ঠান বিরোধী নাটকগুলি জন্য। পথ নাটিকার অগ্রদূত এই নাট্যকার তাঁর নিজস্ব থিয়েটার কোম্পানী 'শতাব্দী' খোলেন ১৯৭৬ সালে। তাঁর লেখা পঞ্চাশটির উপর নাটকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য 'এবং ইন্দ্রজিৎ', 'বাসি খবর', 'সারি রাত'। তাঁর পরীক্ষামূলক দক্ষতার চূড়ান্ত নিদর্শন 'থার্ড থিয়েটার'। ভারতীয়দের মধ্যে যাদের নাটক সবথেকে বেশী অনুদিত হয়েছে বাদল সরকার হলেন তাঁদের মধ্যে একজন। যদিও প্রথম দিকে তাঁর হাস্যরসাত্মক নাটকগুলি ছিল জনপ্রিয়, তাঁর উদ্বেগসংকুল নাটক 'এবং ইন্দ্রজিৎ' ভারতীয় নাটক জগতের কাছে এক নতুন বৈশিষ্ট্য স্থাপন করেছিল। ১৯৬৮ তে পান সঙ্গীত নাটক একাডেমী পুরষ্কার। ১৯৭২ সালে ভারত সরকার এক চরিত্রকে পদ্মশ্রী পুরষ্কারে ভুষিত করেন। ১৯৯২ সালে তিনি তুলনামূলক সাহিত্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মাস্টার্স ডিগ্রী শেষ করেন। ১৯৯৭ সালে ভারত সরকার শিল্প সম্পাদনের (Performing Art) সর্বোচ্চ পুরষ্কার সঙ্গীত নাটক একাডেমী ফেলোশিপ - রত্ন সদস্য প্রদান করেন। 

আরো অনেকের মতো আমিও শুনেছিলাম সুরসম্রাট শ্রী হেমন্ত মুখোপাধ্যায় বি ই কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন এবং এক বৎসর পড়ার পর ছেড়ে দিয়ে গানের জগতে চলে যান। অন্তর্জালে খোঁজাখুঁজি করলে দেখা যাবে উইকির মতো অনেক ওয়েবসাইটও তাই বলছে। কিন্তূ আসলে তিনি প্রযুক্তিবিদ্যার পাঠ নিলেও, সেটা নিয়েছিলেন যাদবপুরে আর পাঠ নিয়েছেলেন শ্রী ত্রিগুনা সেনের কাছে, যিনি পরে ভারতের শিক্ষামন্ত্রী হয়েছিলেন। তাই এটাই ঘটনা যে শ্রী হেমন্ত মুখোপাধ্যায় বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র ছিলেন না।

No comments:

Post a Comment

Note: Only a member of this blog may post a comment.