Wednesday, April 3, 2013

৬. প্রযুক্তিকতায় প্রযুক্তিবিদ


- ৬. প্রযুক্তির গুনীজন

কোথাও পড়েছিলাম যন্ত্রবিদ বা ইঞ্জিনিয়ার হলেন সেই ব্যক্তি যিনি তোমার এমন একটি সমস্যা সমাধান করেন যেটা তুমি নিজেই জানো না এবং এমন উপায়ে যেটা তুমি নিজেও বুঝতে পারবে না। আমরা অনেকেই ইঞ্জিনিয়ার হয়েছি কিন্তূ অনেকেই সেই কেরানীগিরি করে যাচ্ছি বা একইরকম  কাজ করে যাচ্ছি একটা মেশিনের মতো। কলেজে আমাদের জীবনে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ মেশিন ছিল জেরক্স মেশিন। নেতাজী ভবনের আর বি জি রোডের জেরক্স সেন্টার গুলো লাভ করেছে আমাদের ক্লাস ফাঁকি দেওয়ার সুফল হিসেবে। 

বাইরে বেড়িয়ে এখন অনেকেই যন্ত্রগণকে সারাদিন কাজ বা কাজের নামে ব্যস্ত। গুরুচন্ডাঌ-র ভাষায় সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে ঘাড়ে বা পিঠে স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা। এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কড়া পড়ে গেছে। অনেকে স্বীকার করে নিয়েছে বড় কাজ করার পক্ষে সে ছোটখাটো মানুষ, অবশ্য ছোটখাটো কাজ বড় যত্নের সঙ্গে করে থাকে। অনেকে কিছুই স্বীকার করে না, কারণ নিজেই নিজেকে জেনে উঠতে পারেনি। ভেবেছে নিজের অনেক প্রতিভা আছে, চেষ্টা করলেই অনেক কিছু করতে পারে। কিন্তূ সব দোষ সেই কলেজ জীবনের ল্যাদ-এর উপড় গিয়ে পড়েছে। অনেকেই হয়ত ছোট বা বড় কোনো কাজই করে উঠতে পারিনি। শুধু অন্যের উপড় ফ্রাস্টু খেয়ে, কর্তৃপক্ষের নামে মনে মনে নালিশ করে আর বর বা বউ-এর উপড় ঝাল ঝেড়ে কাটিয়ে দিয়েছি।

যারা তাও বাইরে থাকে মাঝে মাঝে পিকনিক করে, দেখা করে, জলসা বা বর্ষবরণ বা দূর্গাপুজো। কিন্তূ যারা কলকাতায় থাকি তারা খুবই ব্যস্ত। অনেকে শুনেছি নাকি কলকাতায় থেকেও শেষ ১৫-২০ বছরে কলেজে একবার ঘুরে আসারও সময় পায়নি। অনেকে রাঞ্চর দাস চাঞ্চর বা ফুনসুক ওয়ান্ডুর ধারে কাছে পৌছাতে না পারলেও বা সেরকম কোনো প্রতিজ্ঞা না থাকলেও কোনো সহপাঠী বা সহপাঠিনীর সাথে যোগাযোগ রাখার চেষ্টাও করেনি।

তবু আজও আছে সেই সূর্যি ডোবা নদী, আজও আছে সেই নকশী কাঁথার মাঠ। আছে পুতুপুতু করে বেঁচে থাকা। সমাবর্তনের দিন কলেজের এক অধ্যাপকের উক্তি, "তোরা এবার শিক্ষার অধিকার ছেড়ে, ভিক্ষার অধিকার লাভ করলি"। তাই পথ হাঁটিতেছি আমরা এই পৃথিবীতে, হয়ত হাজার নয় কিন্তূ কয়েক যুগ ধরে। পিছন ফিরে দেখলে গায়ে কাঁটা দেয় এবং গর্বে বুক ফুলে উঠে এটা ভেবে যে আমি সেই কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েছিলাম যেখান থেকে অনেক গুনিজন পড়েছেন। আজ তাদেরই কয়েকজন। হয়ত আরো অনেকে আছেন যাদের কথা পাঠকদের কাছ থেকে জানতে পারব।

ডঃ ফজলুর রহমান খান (১৯২৯-১৯৮২), যিনি জন্মসুত্রে ভারতীয়, দেশভাগের পরে পাকিস্তানী আবার ১৯৭১ সালের পর বাংলাদেশী এবং শেষ বয়সে বাংলাদেশী আমেরিকান। শিক্ষাগ্রহণ আরমানিতলা গভর্নমেন্ট হাই স্কুল, বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ শিবপুর, ঢাকা ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অফ ইলিওনিস। ইনি পৃথিবী বিখ্যাত স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার, যাকে বলা হয় স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর আইনস্টাইন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন সর্বোচ্চ বাড়ি উইল্লিস টাওয়ারের নকশা এনার তৈরি। এছাড়াও অনেক উল্লেখযোগ্য নকশার মধ্যে আছে জেদ্দাহের কিং আব্দুল আজিজ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের হজ্জ টার্মিনাল - যা পৃথিবীর সবথেকে বড় কেবল স্টেড স্ট্রাকচার; চিকাগোর ব্রুনসউইক বিল্ডিং এবং সিয়ার্স টাওয়ার; মেলবোর্নের ১৪০ উইললিয়াম স্ট্রিট যা আগে ছিল বি এইচ পি হাউস ইত্যাদি। ১৯৭০ সালে খান ওনার কিছু সহকর্মীর সাথে প্রথম মেইনফ্রেম কম্পিউটারে স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর গণনা এবং আর্কিটেকচারাল নকশা তৈরি শুরু করেন। ডঃ ফজলুর রহমান খানকে টিবিউলার স্ট্রাকচারের জনক বলা হয়। ফুল ব্রাইট স্কলারশিপ থেকে শুরু করে অনেক সর্বোচ্চ সন্মান এবং শিরোপা পেয়েছেন।

রায় বাহাদুর অনুকুল চন্দ্র মিত্র ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের নকশা প্রস্তুত করেছিলেন, যিনি ১৯০০ সালে এই কলেজ থেকে বাস্তুশাস্ত্রে (সিভিল) স্নাতক হন। অনেকের ধারনা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলো কলকাতা ময়দানের একমাত্র স্থায়ী নির্মান। এর একটা ছোট্ট গল্প আছে। ১৭৭৩ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ স্থাপন করেন তৎকালীন গোবিন্দপুর গ্রামে। ইতিহাস বলে এখানে একটা জনপদ ছিল। ইউরোপিয়ানরা আসার পর তখনকার ভারতীয়রা পাশের খিদিরপুর বা চৌরঙ্গী অঞ্চলে সরে যান। যারা অপেক্ষাকৃত ধনী ছিলেন তাদের মধ্যে দেব-রা চলে যান শোভাবাজারে, ঠাকুর-রা চলে যান পাথুরিয়াঘাটায় ও জোড়াসাঁকোতে আর ঘোষাল-রা চলে যান ভূকৈলাশ বা খিদিরপুর এলাকায়। ব্রিটিশ সৈন্যবাহিনী দুর্গের সামনে এই বিশাল মাঠটি তৈরি করে কুচকাওয়াজ করার জন্যে। এই ময়দানেই তৈরি হয় পৃথিবীর সবথেকে প্রথম পোলো ক্লাব, ব্রিটেনের বাইরে প্রথম ঘোড়দৌড়ের মাঠ এবং ব্রিটেনের বাইরে প্রথম গল্ফ ক্লাব। এছাড়াও আছে অনেক ফুটবল বা ক্রিকেট বা অন্যান্য ক্রীড়ার সাথে যুক্ত ক্লাব বা সমিতি। কিন্তূ উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হলো সবগুলোই কিন্তূ অস্থায়ী নির্মান। রাস্তা বা ট্রামলাইন ছাড়া অন্য কোনো স্থায়ী নির্মানের অনুমতি এখানে নেই। প্রথমে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, তারপর ব্রিটিশ সৈন্যবাহিনীর হাত ঘুরে আজ এই দুর্গ ও ময়দান ভারতীয় সৈন্যবাহিনীর সম্পত্তি। যদিও ময়দানের আইন শৃঙ্খলার দায়িত্ব পুলিশের, ১৮৪৭ সালের ১৬ নং আইন মোতাবেক এই দুর্গ ও ময়দান আইনত শহরের বাইরে। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালও কিন্তূ এক হিসেবে অস্থায়ী নির্মান। এটি নির্মান করার জন্যে এবং এর স্থায়িত্ব নিশ্চিত করার জন্যে হিসেব অনুযায়ী একটি বিশাল গর্ত খনন করে তার উপর এই সৌধটি গড়ে তোলা হয়। সেই হিসেবে স্থায়ী নির্মানের মতো এর কোনো গতানুগতিক ভিত নেই। এর নকশা ছাড়া, নির্মানেও জড়িয়ে আছেন আর একজন এই কলেজেরই বাস্তু প্রযুক্তিবিদ।

রায় বাহাদুর গিরিশ চন্দ্র দাস কলকাতা সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় বা হাই কোর্টের রক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন, যিনি এই কলেজ থেকে স্নাতক হন ১৮৯১ সালে। উল্লেখবাহুল্য যে এটি ছিল ভারতের প্রথম আদালত যা ১৮৬১ সাল থেকে ফোর্ট উইলিয়ামের মধ্যে চালু হয় এবং ১৮৭২ সালে নিও গথিক শৈলীর এই অপূর্ব নিদর্শনটি আজকের জায়গায় তৈরি হয়।

ডঃ কাজল গুপ্ত ছিলেন নাসার মুখ্য প্রযুক্তিবিদ যিনি এই কলেজ থেকে ১৯৫৬ সালে স্নাতক বাস্তু প্রযুক্তিবিদ (সিভিল)।

স্যার রাজেন মুখার্জী ছিলেন ১৮৮৩ সালের স্নাতক। ওনার উল্লেখযোগ্য কাজগুলোর মধ্যে ছিল পলতা জল শোধনাগার নির্মান এবং ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের নির্মান। এছাড়াও তিনি যুক্ত ছিলেন মার্টিন কোম্পানির ছোটোরেলের লাইন পাতা এবং প্রবর্তনের সাথে। সবথেকে বড় কাজ স্যার মার্টিনের সাথে মার্টিন এন্ড কোং-এর প্রতিষ্ঠা, পরে জি এইচ ফেয়ারহার্স্টের সাথে বার্নপুর দেশের দ্বিতীয় লৌহ উৎপাদনের সংস্থা ইন্ডিয়ান আয়রন এন্ড স্টিল কোম্পানি (IISCO) প্রতিষ্ঠা।

ওনার সুযোগ্য দ্বিতীয় পুত্র স্যার বীরেন মুখার্জীও (১৮৯৯-১৯৮২) ছিলেন বি ই কলেজের বাস্তু প্রযুক্তিবিদ (সিভিল) এবং পরে তিনি IISCO-র দায়িত্ব গ্রহন করেন। ১৯৫৩ সালে কোম্পানীর সম্প্রসারণের জন্যে বিদেশী মুদ্রার প্রয়োজন মেটাতে স্যার বীরেন অনান্য অংশীদারদের সঙ্গে ওয়াশিংটনে একটি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করেন সাড়ে একত্রিশ মিলিয়ন ডলারের জন্য। এটা ছিল বিশ্ব ব্যাঙ্কের বেসরকারি খাতে যে কোনো শিল্পের জন্যে মঞ্জুর করা প্রথম কোনো ঋণ। স্যার বীরেন মুখার্জী কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনের অধ্যাপকের কন্যা অসাধারণ সুন্দরী রাণু অধিকারীকে বিয়ে করেন। লেডি রানু (১৯০৭-২০০০) তার ছেলেবেলা থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর নিকটতম সহযোগীদের একজন ছিলেন এবং পরে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন কলকাতা একাডেমি অফ ফাইন আর্টস। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় উপন্যাস "রানু ও ভানু"-র (২০১২) ভিত্তি আংশিকভাবে তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীর উপর।

ডঃ পি কে বসু ছিলেন বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল ভানডেরবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর শীর্ষে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক ছাত্রের আনুমানিক বাৎসরিক খরচ হলো তিপান্ন হাজার ছয়শ ষাট মার্কিন ডলার বা ছাব্বিশ লক্ষ তিরাশি হাজার টাকা। 

ডঃ বি সি গাঙ্গুলী (সিভিল) ছিলেন ভারতীয় রেল চলাচল প্রকৌশলী (IRSE), যিনি ১৯৭০-এর জানুয়ারী থেকে ১৯৭১-এর অক্টোবর পর্যন্ত্য ভারতীয় রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন।

ডঃ ত্রিদিবেশ মুখার্জী ছিলেন ধাতুবিদ্যার (Metallurgy) স্নাতক ও টাটা মেটালিক্স-এর পরিচালন অধিকর্তা (M.D.), টাটা গ্রুপের অধিকর্তা (ডিরেক্টর), কোরাস স্টিলের ডিরেক্টর এবং টাটা স্টিলের সহকারী পরিচালন অধিকর্তা।

ডঃ প্রফেসর সুধাংশুশেখর চক্রবর্তী ১৯৫৭ সালে সিভিলের স্নাতক এবং ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠা করেন কনসাল্টিং ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস (CES) নামে ভারত বিখ্যাত বিশাল এক নকশা পরামর্শ কোম্পানি, যার শাখা আজ বিদেশেও ছড়িয়ে আছে। বিভিন্ন দেশীয় ও বিদেশী স্বীকৃতি ছাড়াও ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল একাডেমী অফ ইঞ্জিনিয়ারিং ডঃ চক্রবর্তীকে ২০১১ সালে আজীবন কাজের জন্যে সন্মানিত করে যে সন্মান দিয়েছেন, তা ডঃ সতীশ ধাওয়ান বা ডঃ এ পি জে আব্দুল কালামের মতো ব্যক্তিরাই পেয়েছেন।

মিঃ অমৃত কুমার দাস ১৯৬৬-এর সিভিলের স্নাতক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্নাতকোত্তর পাঠের সময় লিখে ফেলেন কিছু কম্পিউটার প্রোগ্রাম, যা ১৯৭৮ সালে জন্ম দেয় বিশ্বে সবথেকে বেশী চালু স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রাম STAAD১৯৮১ সালে তৈরি হয় রিসার্চ ইঞ্জিনিয়ার্স (Research Engineers) নামে এক বহুজাতিক কোম্পানি, যা পরে নাম পরিবর্তন করে হয় নেটগুরু (netGuru) নামে এক বহুমুখী প্রতিষ্ঠান। কলকাতায় এবং ভারতবর্ষের অন্য শাখার সঙ্গে বিদেশেও শুরু হয় প্রথম বানিজ্যিকভাবে স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং সফটওয়্যার। নেটগুরু হবার পর সিনেমা, সাউন্ড রেকর্ডিং, অ্যানিমেশন,  মাল্টিমিডিয়া, ওয়েবসাইট তৈরি ইত্যাদি শুরু হয়। একটা বিভাগ খোলা হয় নকশা পরামর্শের জন্যে, যা বিখ্যাত ছিল স্ট্রাকচারাল উপাদান বা নির্মানের অংশ পরিবহনের পরামর্শের জন্য। অনেক বিজ্ঞাপন, কিছু বাংলা ও অন্যান্য ভাষার ছবির সাউন্ড রেকর্ডিং ছাড়াও কোম্পানি তৈরি করে কিছু বাংলা ও হলিউডের সিনেমা, ওয়ার্নার ব্রাদার্সের জন্যে কার্টুন ছবি, বিশ্বভারতীর সাথে রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টির কিছু নাট্যরূপ এবং অ্যানিমেশন। এখনও নেটগুরু বিভাগ কাজ করে গেলেও, ২০০৫-এ ইঞ্জিনিয়ারিং সফটওয়্যার বিভাগ অধিগ্রহন হয়ে যায় এক মার্কিন কোম্পানির কাছে। ঘটনাচক্রে ১৯৯৭-এ স্নাতক পাশ করে আমি এই রিসার্চ ইঞ্জিনিয়ার্সে কাজ করি ২০০৬-এর মাঝামাঝি পর্যন্ত্য।

ডঃ সৌরভ কুন্ডু আমাদের কলেজের ১৯৯০-এর স্নাতক আর্কিটেক্ট। অস্ট্রেলিয়া থেকে স্নাতকোত্তর এবং জাপানে গবেষনা করা এই ব্যক্তি আজ টোকিওতে শুরু এক বহুজাতিক কম্পিউটার প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান KSG গ্লোবালের প্রেসিডেন্ট এবং চিফ সল্যুশন আর্কিটেক্ট। ডঃ কুন্ডু বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ক্রিয়েটিভ ডিজাইন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, তত্ত্বগত নিখুতকরণ এবং স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিখুতকরণ এবং ব্যবসা সম্বন্ধে শিক্ষাপ্রদান করছেন। এছাড়াও তিনি বাঙ্গালী সম্প্রদায়ের জন্য দুটি সবচেয়ে জনপ্রিয় ই কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি  রক্ষণাবেক্ষণ করেন - কলকাতা অনলাইন এবং বেঙ্গলনেট কমিউনিকেশনস।

No comments:

Post a Comment

Note: Only a member of this blog may post a comment.